Header Ads

ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে ওঠার অনুকূল পরিবেশ - SSC, HSC Business Entrepreneurship Suggestion

এস এস সি ও এইচ এস সি ব্যবসায় উদ্যোগ সাজেশনঃ
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যবসায় উদ্যোগের ভূমিকা নিরূপণ কর।

প্রশ্নঃ ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে ওঠার অনুকূল পরিবেশ ব্যাখ্যা কর।
অথবা, ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে উঠার ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশসমূহ কী কী?
অথবা, ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সাহায্যকারী উপাদানসমূহ কী কী?

উত্তরঃ ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে উঠার অনুকূল পরিবেশঃ

যেকোন রাষ্ট্র বা সমাজব্যবস্থার পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক কাঠামো সেখানকার উদ্যোক্তাদের নতুন ব্যবসায় সংগঠণে ও উদ্যোগ গ্রহণে প্রভাব-বিস্তারকারী উপাদান হিসবে ও অন্যতম নির্ধারক হিসেবে কাজ করে।

নিম্নে বর্ণিত উপাদানগুলো বা অনুকূল পরিবেশ ব্যবসায় উদ্যোগের অগ্রযাত্রায় বিশেষ ভূমিকা রাখেঃ

ক) অবকাঠামোগত উৎকৃষ্ট উপাদানঃ
আদর্শ ও সমুন্নত ব্যবসায় পরিবেশের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের একটি হলো অবকাঠামোগত উপাদানের পর্যাপ্ততা। যেমন- একটি ভালো ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে ওঠার জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি উন্নত অর্থনৈতিক কাঠামো ও ক্ষুদে উদ্যোক্তাবান্ধব ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রচলন থাকা জরুরী।
এছাড়াও ব্যবসায় পরিচালনার জন্য পারিপার্শ্বিক সুযোগ সুবিধা, যেমন বিদ্যুত, গ্যাস, যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নত কাঠামো থাকা বাঞ্ছনীয়।

খ) রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাঃ
রাষ্ট্র তার সার্বিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা বিবেচনায় এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য নানাবিধ পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে দেশে নতুন নতুন ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালাবে এবং তরুনদের যুগোপোযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিবে।
এতে করে দেশে ব্যবসায় উদ্যোগের সম্প্রসারণ ও সমৃদ্ধি আনয়ন সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে সরকার চাইলে নতুন উদ্যোক্তাদের সাময়িক কর মওকুফের, স্বল্প ও বিনা সুদের মূলধন সরবরাহের ব্যবস্থা করে ব্যবসায় উদ্যোগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।

গ) রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাঃ
আমাদের দেশে প্রায়শই রাজনৈতিক হাঙ্গামা ও বিভিন্ন জটিলতায় অনেক উঠতি ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তাদের অনেক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এবং ব্যবসায় উদ্যোগের সম্প্রসারণের পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্ভুদ্ধকরণে রাজনৈতিক পরিবেশের স্থিতিশীলতা অনেকবেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

অন্যথায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অসম্প্রীতি নতুন উদ্যোক্তাদের মূলধন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করবে।

ঘ) স্বল্প ব্যয়ে মূলধনের যোগানঃ
উদ্যোক্তারা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ বা মূলধন সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনেকবেশি জটিলতার পাশাপাশি অধিক ব্যয়সম্পন্ন ঋণ গ্রহণে অনাগ্রহ দেখা যায়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে মূলধন সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
উদ্যোক্তাদের মূলধনের ব্যয় যাতে তাদের জন্য বড় দায়ের সৃষ্টি না করে পাশাপাশি মূলধন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতির সঞ্চার না করে সেদিকে লক্ষ্য রেখে ভারসাম্য অবস্থায় সার্বিক পরিবেশের অনুকূল অবস্থা তৈরি করতে হবে।

Business Entrepreneurship SSC and HSC Suggestion