ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়ের এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থীদের জন্য সাজেশন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যবসায় উদ্যোগের ভূমিকা নিরূপণ কর।
অথবা, ব্যবসায় উদ্যোগ সৃষ্টিতে আত্মকর্মসংস্থানের ভূমিকা ও প্রভাব বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রয়োগমূলক ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নে এ প্রশ্নটি আসতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রথমে আত্ম-কর্মসংস্থানের ধারণাটি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা করতে জানতে হবে। নিম্নে সে বিষয়ে প্রশ্নের ধরণ ও উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
প্রশ্নঃ আত্মকর্মসংস্থান কাকে বলে?
অথবা, আত্মকর্মসংস্থান বলতে কী বোঝায়?
অথবা, আত্মকর্মসংস্থানের ধারণা ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ আত্মকর্মসংস্থানের ধারণাঃ
আত্মকর্মসংস্থান বলতে আত্ম-উদ্যোগে বা নিজ প্রচেষ্টায় জীবিকা নির্বাহ ও ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা যা থেকে একজন ব্যক্তির অর্থ উপার্জন হবে।
বস্তুত নিজস্ব পুঁজি বা ঋণ করা স্বল্প সম্পদ, নিজস্ব, চিন্তা, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ন্যূনতম ঝুঁকি নিয়ে আত্মপ্রচেষ্টায় জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থাকে আত্মকর্মসংস্থান বলা হয়।
ব্যবসায় উদ্যোগ এবং আত্মকর্মসংস্থানের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান।
সকল
ব্যবসায় উদ্যোগ ব্যক্তির জন্য আত্নকর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে থাকে। তাই সকল
আত্মকর্মসংস্থানকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলে অভিহিত করা যায়।
নিচে একটি উদাহরণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের ধারণাটি বিশদ আলোচনা করা হলোঃ
বাজারে টমেটোর বেশ ভালো দাম থাকায় উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা জনাব ইয়াসিন তার বাবার এক একর জমিতে টমেটো চাষের সিদ্ধান্ত নিলেন। এক্ষেত্রে তিনি প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে উচ্চ ফলনশীল টমেটোর চাষাবাদের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের যোগান দিয়ে টমেটোর চাষাবাদ আরম্ভ করেন।
যথাযথ পর্যবেক্ষন ও রক্ষণাবেক্ষণের ফলে তার চাষাবাদের জমিতে বেশ ভালো ফলন হয়। পর্যায়ক্রমে তিনি পাইকারদের কাছে প্রয়োজনীয় পরিমাণ টমেটো বিক্রি করে স্থানীয় বাজারে নিজেও খুচরা বিক্রির মাধ্যমে বেশ লাভবান হন।
উপরের ইয়াসিন সাহেব নিজস্ব উদ্যোগে নিজের দক্ষতা ও গুনাবলির মাধ্যমে নিজেই
নিজের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে উপার্জনের পথ তৈরি করেছেন।
এ জাতীয় কাজকেই
আত্মকর্মসংস্থান বলে।