এস এস সি ও এইচ এস সি ব্যবসায় উদ্যোগের সৃজনশীল প্রশ্ন হিসেবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ধারণা বিষয়ক প্রশ্ন আসতে পারে।
অনেকে শিক্ষার্থীকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ধারণা বা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের
সংজ্ঞা লিখতে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক অনেক উত্তর লিখতে দেখা গিয়েছে।
নিচে এ
প্রশ্নটি কিভাবে আসতে পারে বা এর যথাযথ উত্তর বিস্তারিত নিচে লিখা হলো।
এই ওয়েবসাইটে এ জাতীয় অন্য কোন বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে নিচে কমেন্টে অথবা আমাদের ফেসবুক পেইজে যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রশ্নঃ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কাকে বল
অথবা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বলতে কি বুঝায়?
অথবা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ধারণা ব্যাখা কর।
উত্তরঃ একটি রাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং সামাজিক অবস্থা একটি অপরটির সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত।
আর্থ-সামাজিক
শব্দটি দ্বারা কোন জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সামাজিক পরিবেশ-পরিস্থিতির
কাঠামোকে বুঝানো হয়।
একইভাবে, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বলতে, কোন সমাজের কোন বস্তুগত ও অবস্তুগত পরিবর্তনের ফলে সেখানকার অর্থনৈতিক কাঠামো ও সামাজিক অবস্থানের উপর ইতিবাচক প্রভাব ও উন্নয়নকে বোঝায়।
উদাহরণস্বরুপ, মানুষের জৈবিক ও মানবিক চাহিদার সমন্বয়ে ৬টি মৌল মানবিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে সুষম আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন।
যেমন- ভোলার আমিন বেপারির পরিবার রাষ্ট্রীয় সহায়তায় এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবার চাষাবাদে বেশ লাভবান হলেন। এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে ফসল বিক্রি করে তার পরিবারের চাহিদাগুলো পূরণ করতে পেরে সে বেশ খুশি।
উপরোক্ত ব্যক্তির আর্থিক অবস্থা এবং একই সাথে ধারাবাহিক আয়-উন্নতির ফলে তার সামাজিক অবস্থানেরও পরিবর্তন ঘটবে। এভাবে সমষ্টিগতভাবে একটা সমাজব্যবস্থার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটে।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলোঃ
১। ব্যষ্টিক
ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটে,
২। সমাজস্থ মানুষের মৌলিক
চাহিদার যথাযথ পূরণ নিশ্চিত হয়,
৩। অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত
হয়,
৪। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব বিরাজ
করে।
অতএব, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন মানুষের জীবনের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থানের উন্নয়নের পাশাপাশি জীবনযাত্রার মানের উন্নয়নকে নির্দেশ করে।
আপনাদের যেকোন মতামত বা জিজ্ঞাসা থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার পরিচয় গোপন রেখেও মতামত প্রকাশ করতে পারেন।