Header Ads

Strange Facts about Used Laptop Price in Bangladesh | Used Laptop Buying Guides [Bangla]

অনেকেই হরহামেশা আকর্ষণীয় অফারে প্রলুব্ধ হয়ে ব্যবহৃত ও রিফার্বিশ ল্যাপটপ ক্রয় করে থাকেন। তবে তাদের মধ্যে সবাই যে সেসকল ব্যবহৃত ল্যাপটপগুলো কিনে প্রত্যাশিত বা কাঙ্খিত পার্ফরমেন্স বা সেবা পান তাও কিন্তু নয়।

অনেকক্ষেত্রেই এই ল্যাপটপগুলো বাহিরের বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট থেকে রিফার্বিশ ল্যাপটপ হিসেবে একত্রে অনেক ইউনিট ক্রয় করে এ দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সরাসরি অনেকে ইম্পোর্ট করে।
তবে বর্তমানে বাংলাদেশ কাস্টম হাউসের বিধি নিষেধ অনুযায়ী এসকল ব্যবহৃত ল্যাপটপ আমদানি করা যায় না।

ফলে অবৈধ পন্থায় আমাদানি করা ল্যাপটপগুলোর মূল্য স্বভাবতই অনেক বেশি পরে। আর সেগুলো কয়েক হাত বদল হয়ে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছায়। সেক্ষেত্রে ক্রেতাদের ওয়ারেন্টি সার্ভিস যেমন নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পরে পাশাপাশি ল্যাপটপের দামও বেড়ে যায়।

সুতরাং আমাদের উপদেশ থাকবে পছন্দের মডেলের ল্যাপটপ আপনি কমপক্ষে ৩ বা ৪টি শপে দাম ও প্রোডাক্টের কোয়ালিটি চেক করে কিনবেন। তাহলে একই সাথে আপনি দামের দিক থেকেও ঠকবেন না আবার বেস্ট অপশনটাও বেঁচে নিতে পারবেন।

পুরাতন ব্যবহৃত ল্যাপটপ কিনতে আগ্রহীরা নিম্নোক্ত আরো কিছু বিষয় ভালোভাবে দেখে শুনে ল্যাপটপ ক্রয় করলে আশা করি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিরাপদ থাকতে পারবেন।

যেহেতু বিদেশ থেকে আসা ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও রিফার্বিশ ল্যাপটপগুলোর মূল্য অপেক্ষাকৃত কম এবং বিভিন্ন ল্যাপটপ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান সেগুলো ওয়ারেন্টি সার্ভিস প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে, সেহেতু ক্রেতারা অনেক সময়েই এই ল্যাপটপগুলোকে তাদের বাজেটের টাকায় সর্বোত্তম অপশন হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।

তো প্রথমে অবশ্যই বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভালোভাবে জেনে নিবেন তারা কত মাসের ওয়ারেন্টি দিবে?
কোন পার্টসের কত মাস বা কত দিন ওয়ারেন্টি? কোন সমস্যা হলে তারা সার্ভিস করে দিলে আপনাকে কোন ফী দিতে হবে কিনা!

একটা জরুরী বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনি যে দোকানীর কাছ থেকে পুরাতন রিফার্বিশ ল্যাপটপটি কিনতে যাচ্ছেন তারা সরাসরি সেটা ইম্পোর্ট বা আমদানি করে কিনা!

অনেকাংশেই দেখা যায় এক দোকানদার অন্য আরেকটি দোকান থেকে ল্যাপটপ এনে তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করে একটা কমিশন লাভ করে। এক্ষেত্রে, আপনার ক্রয়মূল্য একটু বেশি হয়ে যেতে পারে।

২য় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এখনকার নতুন সফটওয়্যারগুলো স্বাভাবিকভাবেই অনেকবেশি ডেটা সমৃদ্ধ ও অনেক গ্রাফিকাল লোড থাকে সেগুলোতে, আর সেজন্য যারা ভালো মানের সার্ভিস প্রত্যাশা করেন তারা কমপক্ষে ৫ম প্রজন্ম বা তার পরবর্তী প্রজন্মের প্রোসেসরের ল্যাপটপ কিনবেন।

যেহেতু ইতিমধ্যেই অবগত আছেন উইন্ডোজ ১১ পুরাতন প্রজন্মের অধিকাংশ ল্যাপটপেই আপডেট পাবে না। সেহেতু বুঝতেই পারছেন সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় প্রোসেসর যাতে খুব বেশি পুরাতন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

নিচে এ বিষয়ে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন আরোবেশি সুস্পষ্ট ধারণার জন্য।